কদিন বাদে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এ বছর বাগেরহাটে ৬৩৩টি পূজামণ্ডপে স্থাপন করা দেবদেবীর প্রতিমায় এখন রঙের কাজ চলছে। কাজ শেষ করতে স্প্রে মেশিনের মাধ্যমে প্রতিমায় রং করা হচ্ছে। করোনার কারণে অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় রেখে খরচ কমাতে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে প্রতিমার সাইজ অনেকটা ছোট করা হয়েছে। বংশ পরম্পরায় প্রতিমা তৈরি করা এই কারিগড়দের মন খুব একটা ভালো নেই। করোনার প্রভাবে প্রতিমার কাজ না থাকা আর দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে পূর্বপুরুষের পেশা ছাড়তে চায় তারা।
জানা গেছে, বাগেরহাট সদর, কচুয়া, মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা, রামপাল, ফকিরহাট, মোল্লাহাট ও চিতলমারী উপজেলা মিলে জেলার ৯টি উপজেলায় এ বছর ৬৩৩টি পূজামণ্ডপে দুর্গা উৎসবের আয়োজন চলছে। পূজামণ্ডপগুলোতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। এখন পূজামণ্ডপগুলোতে কারিগড়দের নিপুণ হাতের ছোয়া আর রং তুলিতে প্রতিমা সাজানো হচ্ছে। ১১ অক্টোবর সন্ধ্যায় বেলগাছের নিচে বোধনের মধ্যে দিয়ে দেবী দুর্গা ঘোড়ায় চড়ে স্বর্গ থেকে মত্তলোকে আসবেন। মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী পূজার মধ্যে দিয়ে দেবীকে আরাধনা এবং ১৫ অক্টোবর দশমীতে দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দোলায় চড়ে মা দুর্গা ফিরে যাবেন স্বর্গ লোকে।
দুর্গোৎসবকে ঘিরে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা এবং আনন্দঘন পরিবেশে উৎসবের জন্য জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। পূজামণ্ডপগুলোতে পুলিশ এবং আনসার মোতায়েনের পাশাপাশি র্যাবের টহল থাকবে। একই সাথেপূজা মণ্ডপগুলোর পক্ষ থেকে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্বপালন করবে।